সীরাহ অডিও

ঝমঝম বৃষ্টি পড়ছে। পাতায় পাতায় হুটোপুটির শব্দ। কংক্রিটের ছাদে আবার সেই শব্দ অনেকটাই গম্ভীর। থেমে থেমে মেঘের নিনাদ। হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠা কালাশনিকভের গুলিতে নিথর মৃতদেহ। মৃত্যুর আগে শুধু অস্ফুট আর্তনাদ। আচমকা বারুদের এই গর্জনে ভয় পেয়ে কেঁদে ওঠে নিচের তলার শিশু। অস্ত্রের ধমককে বজ্রের হুঙ্কার ভেবে বাচ্চাকে অভয় দেন মা। ঘুমপাড়ানি গানের নেশালাগা গুনগুনে ধীরে ধীরে স্তিমিত হয় ছোট্ট হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানি। ওদিকে ঝমঝমিয়ে নেমে আসা বৃষ্টি আর নিঃশব্দে শরীরে বয়ে চলা উষ্ণ রক্ত লাশ থেকে বেরিয়ে আচমকাই এক হয়ে কলকল করে বয়ে যায় ঢাল বেয়ে। — কত কাছাকাছি সব শব্দ, অথচ কত ভিন্ন তাদের অনুভূতি। কত দৃশ্যই না কল্পনায় তৈরি করে একেকটা শব্দ।

শব্দ, দৃশ্য, ঘ্রাণ, স্পর্শ – এটুকু দিয়েই তো মানুষ দুনিয়াটাকে নিজের ভেতর ধারণ করে। এসব ইন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়েই মানুষ গড়ে, মানুষ ভাঙে… বদলায়। আচ্ছা, এর মধ্যে কোনটা মানুষকে বেশি প্রভাবিত করে? মনে হয় শব্দ। শব্দেই দুমড়ে মুচড়ে যায় অন্তর। শব্দেই হৃদয় স্পন্দিত হয় শান্তির তরঙ্গে। শব্দেই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ করতে কিংবা শান্তি আনতে।

ইতিহাসও কিন্তু তাই বলে। শ্রবণেন্দ্রিয় পথেই একটা জাতির খোলনলচে পালটে দিয়েছিল কুরআন। ওয়াহির শব্দ সিজদায় ফেলে মুশরিকদের, পাথরসম অন্তর ভেঙে ফোয়ারা ছোটায় উমারের অন্তরে। যুগ থেকে যুগ যুগান্তরে, আজও মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়ে সেই শব্দে। এই শব্দে উঠে দাঁড়ায়, প্রাণ দেয় , প্রাণ নেয়। কই শব্দ তো আমরাও শুনি। নেতার মিথ্যাচার, উদ্ধতের আস্ফালন, আহতের চিৎকার, নিহতের নীরবতা। কিন্তু সেই শব্দ কোথায় যা জীবন্মৃতকে জাগাবে, অহংকারীকে কাঁপাবে, ভীরুকে দিবে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর আর মজলুমকে করবে শক্তিধর? সেই শব্দ খুঁজে পেতে তাই ফিরে যেতে হবে সেই মানুষের জীবনে, যার মুখনিঃসৃত শব্দ একদিন এনে দিয়েছিল এই সবই। আর এমন জীবনী উজ্জীবিত করতে শব্দের চেয়ে উত্তম মাধ্যম আর কি-ইবা হতে পারে?

তাই শব্দ দিয়েই বদলে দিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন নিয়ে রেইনড্রপসের নতুন অডিও সিরিজ — সীরাহ অডিও।

এই শব্দে বদলে গিয়ে আরও বলিষ্ঠ শব্দে একে ছড়িয়ে দিতে আপনি প্রস্তুত তো ?

পর্ব ০১ | কেমন ছিলেন তিনি?
শব্দ, দৃশ্য, ঘ্রাণ, স্পর্শ – এটুকু দিয়েই তো মানুষ দুনিয়াটাকে নিজের ভেতর ধারণ করে। এসব ইন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়েই মানুষ গড়ে, মানুষ ভাঙে… বদলায়। আচ্ছা, এর মধ্যে কোনটা মানুষকে বেশি প্রভাবিত করে? মনে হয় শব্দ। শব্দেই দুমড়ে মুচড়ে যায় অন্তর। শব্দেই হৃদয় স্পন্দিত হয় শান্তির তরঙ্গে। শব্দেই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ করতে কিংবা শান্তি আনতে। ইতিহাসও কিন্তু তাই বলে। শ্রবণেন্দ্রিয় পথেই একটা জাতির খোলনলচে পালটে দিয়েছিল কুরআন। ওয়াহির শব্দ সিজদায় ফেলে মুশরিকদের, পাথরসম অন্তর ভেঙে ফোয়ারা ছোটায় উমারের অন্তরে। বিস্তারিত
পর্ব ০২ | সীরাহ জানার গুরুত্ব
ইসলামের আলো যতো নিভু নিভু হোক না, এই আলো কখনো নিভে যাবে না। একজন মুসলিম যতো গুনাহগার হোক না কেন, অন্তরের অন্ধকার গহীনে কোনো না কোনো একখানে একবিন্দু আলো তাকে মুসলিম হতে প্রেরণা যুগিয়ে যায়, রাসূলুল্লাহর (সা) দেখানো পথে ঠেলে দিতে চায়। মুসলিমদের অবস্থা সামগ্রিকভাবে যতো খারাপই হোক না কেন, একদল মুসলিম ঠিকই আজও মানুষের মাঝে ইসলামকে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। ইসলামের দুশমনরা জানে, ইসলামের এই নিভু নিভু আলো যেকোনো সময় দপ করে জ্বলে উঠতে পারে। কেননা এই আলোর চালিকাশক্তি হলেন আল্লাহর বিস্তারিত
পর্ব ০৩ | প্রাক ইসলামী যুগে  পৃথিবীর অবস্থা
চারিদিকে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার, আশেপাশে কোনো আলো নেই। নিজের হাতের অস্তিত্বই বুঝা যাচ্ছে নাহ, গন্তব্যের পথ খুঁজে পাওয়ার কথা বলাই বাহুল্য। পথ চলতে গেলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা ষোলআনা। খুব ভালো হয় যদি কোনো আলো খুঁজে পাওয়া যায়, আরও ভালো হয় যদি কোনো পথ নির্দেশক সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে দেয়।  কিন্তু এমন পথ নির্দেশক কোথা থেকে আসবে?প্রাক ইসলামি যুগে সমগ্র আরবেই শুধু নয় বরং পুরো বিশ্ব জুড়েই ভয়াবহ অন্ধকার বিরাজমান ছিল। এই অন্ধকার ছিল শির্কের, মূর্তি পূজার আর ধর্মীয় নেতাদের অন্ধ অনুসরণের। বিস্তারিত
পর্ব ০৪ | রাসূলুল্লাহর সা. জন্ম
নিঃসন্দেহে পৃথিবীর বুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন একটা বিশাল ঘটনা। বড় কোনো ঘটনা ঘটার আগে যেমন অনেকগুলো ছোটো ছোটো আয়োজন থাকে, ঠিক তেমনই, রাসূল্ললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের আগে আরবের বুকে ঘটে যায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা, বলা যেতে পারে — সিরিজ অফ ইভেন্ট! এরকমই কিছু ঘটনা আলোচনা করে আমরা এই পর্বে প্রবেশ করবো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে — তাঁর জন্ম, তাঁর শৈশব আর বেড়ে ওঠা। এই পর্বে যা যা আলোচিত হবে, বিস্তারিত
পর্ব ০৫ | রাসূলুল্লাহর সা. জীবনে নবুওয়াত পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা
অনেক বছর আগের কথা। তখন বিনোদনের মাধ্যম বলতে এখনকার সময়ের মতো কিছু ছিল না। লোকজন বিনোদনের জন্য বিভিন্ন আসরে যেত, কবিতা আর সাহিত্য চর্চা করতো। এক মেষপালকেরও ইচ্ছা হলো আসরে যাওয়ার। কিন্তু মেষপালের দেখা শুনার ব্যবস্থা না করে যাওয়া যাবে না। সে তার মেষপালক বন্ধুকে অনুরোধ করলো নিজের মেষপালকে দেখে রাখার যাতে সে আসরে যেতে পারে। তার বন্ধু রাজি হলো এবং ঐ মেষপালক আসরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আসরের কাছাকাছি আসতেই সে আসরের সুরেলা ধ্বনি শুনতে পেল। এই সময়েই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। বিস্তারিত
পর্ব ০৬ | খাদিজা রা. এর সাথে রাসূলুল্লাহ সা. এর বিয়ে
lom ep006
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সাহাবিদের আশ্রয়স্থল। সাহাবিরা তাঁর কাছে এলে ঈমানে বলীয়ান হতেন, তাঁর কাছে শান্তি পেতেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানে সাহাবিরা তাঁর চারপাশে আশ্রয় নিতেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ছিলেন তাদের সকল বিপদে ঢালস্বরুপ। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা) কি একজন মানুষ নন? তাঁর নিজের কি কোনো কমফোর্ট প্রয়োজন নেই? যখন তাঁর দাওয়াহ প্রত্যাখ্যাত হতে লাগলো,  লোকে তাঁর নামে আজে-বাজে বকতে লাগলো, সমগ্র সমাজ তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলো, দিনের পর দিন মানুষ তাঁর আহবানকে ফিরিয়ে দিতে বিস্তারিত
পর্ব ০৭ | হুনাফাদের গল্প
lom 007
‘…কী করবো ভাই বলেন! নামাযটা তো পড়া হয় না! আসলে আল্লাহ তো হিদায়াত দিচ্ছেন না, উনি হিদায়াত দিলেই বদলে যাবো ভাই!’এই কথাগুলো নতুন কিছু নয়। আমরা প্রায় নিজেদের অলসতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং গুনাহের ভার আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এই ধরণের অজুহাত তৈরি করি। যেন আমার মন পরিষ্কার, আমি বদলাতেই চাই, আমি ইসলাম মানতে চাই — কিন্তু আল্লাহই আমাকে ইসলামের দিকে হিদায়াত করছেন না! সত্যের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে আমরা অনেকগুলো অজুহাতের মিথ্যা দরজা বানিয়ে রেখেছি। আর তেমনই একটি দরজা হলো বিস্তারিত
পর্ব ০৮ | কেমন ছিল আরব সমাজ?
এ কথা আমরা সবাই জানি, ইসলাম পূর্ব যুগে আরবরা ছিল একটি বর্বর জাতি। নিয়ম-নীতির বালাই ছিল না, আইন কানুনের তোয়াক্কা ছিল না। অথচ সে সময় জ্ঞান-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তি আর নিয়মতান্ত্রিকতার বিচারের অন্য জাতি আর সভ্যতাগুলো বেদুইন আরবদের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল। পারস্যের বুরোক্রেসি আর আভিজাত্য, রোমানদের সমরবিদ্যায় পারদর্শিতা, গ্রীসে দর্শনশাস্ত্রের চর্চা আর মেধা থাকা সত্ত্বেও কেন আরবের রুক্ষ মরু অঞ্চল নবুওয়াতের জন্য নির্বাচিত হলো? নিরক্ষর বর্বর এই আরবদের মাঝে কী এমন ছিল যার কারণে আর সবাইকে বিস্তারিত
পর্ব ০৯ | জিবরীল আ. এর আগমন
lom 009
দিনগুলো কেমন যেন বদলে গেছে। মানুষের সঙ্গ তাঁর খুব একটা ভালো লাগছে না। ভালো লাগছে একাকীত্ব আর নির্জনতা। দিনগুলি কেটে যাচ্ছে আল্লাহর কথা ভেবে, আল্লাহর সৃষ্টির কথা ভেবে। দুনিয়ার ব্যস্ততা, চাপ আর ক্লান্তি থেকে দূরে থেকে ভালোই লাগছে তাঁর।আরো ঘটছে কিছু অদ্ভূত ঘটনা। যে-স্বপ্নই তিনি দেখছেন, সেটাই সত্য হচ্ছে! যেভাবে দেখছেন, অবিকল সেভাবে! প্রভাত যেভাবে প্রস্ফুটিত হয়, স্বপ্নগুলো ঠিক সেভাবেই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে! এভাবে কেটে গেল ছয়টি মাস। রাসূলুল্লাহ (সা) একাকি-নির্জনে, শান্ত-নিবিষ্ট মনে বসে আছেন, তখনই তাঁর বিস্তারিত
পর্ব ১০ | যারা ছিলেন অগ্রগামী
lom 010
শুরুটা হয়েছিল সূরা আলাক্বের ‘ইক্বরা’ দিয়ে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়াহীর সময়ে নাযিল যে আয়াত নাযিল হয়েছে তার শুরু হল সূরা মুযযাম্মিল ও সূরা মুদ্দাসসিরের ‘ক্বুম’ দিয়ে। অল্প কিছু কথা, কিন্তু গভীর সেগুলোর প্রভাব।যারা ইসলামের দিকে আহবান করেন, তাদের জন্য এই আয়াতগুলো একটি নির্দেশিকা বা ম্যানুয়াল বুক হিসেবে কাজ করে। এই তিনটি ওয়াহীকে সংক্ষেপে বলা যেতে পারে ইক্বরা, কুম, কুম। এই আয়াতগুলোই প্রথম যুগের মুসলিমদেরকে দা’ওয়াহর ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়। প্রথম আদেশটি হলো “ইক্বরা”। এর মাধ্যমে তিলাওয়াত বিস্তারিত
পর্ব ১১ | প্রতিক্রিয়া
lom 011
তারা ভেবেছিল তাঁকে অপমান করলে তিনি চুপসে যাবেন। না! তিনি মুষড়ে পড়ার মানুষ নন। তারা চাইছিল হুমকি দিয়ে তাঁকে দাবিয়ে রাখবে। না! নিজের নিরাপত্তার ভয়ে চুপ করে থাকার মতো মানসিকতা তাঁর নয়। তারা ষড়যন্ত্র করছিল মিডিয়া ক্যাম্পেইন করে তাঁর নামে মিথ্যার বেসাতি ছড়ালে মানুষ তাঁকে অগ্রাহ্য করবে। না! বরং তিনিই তাদের অগ্রাহ্য করে সত্য আদর্শের প্রতি মানুষকে আহবান করে গেছেন। তারা মনে করেছিল টাকা কিংবা সুন্দরী নারীর ‘অফার’ দিয়ে তাঁকে কিনে ফেলবে। না! তাঁর এক হাতে সূর্য আর আরেক হাতে  বিস্তারিত
পর্ব ১২ | প্রতিক্রিয়া পর্ব ২
lom 012
‘শান্তি’ একটা অদ্ভূত শব্দ। আমরা সবাই শান্তি চাই, কিন্তু হয় শান্তি কী জিনিস আমরা তা বুঝি না, অথবা বুঝলেও নিজের মতো করে শান্তিকে সংজ্ঞায়িত করি। একজন জালিম যখন ক্ষমতার আসনে আসীন হয়, তখন প্রতিবাদ ওঠে, বিদ্রোহ হয়, রক্ত ঝড়ে। সেটাকে আমরা ‘অশান্তি’ বলি। কিন্তু বিদ্রোহ দমন করে, মানুষ হত্যা করে, সমস্ত কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিয়ে যালিম যখন ক্ষমতার আসনে পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তখন আমরা বলি ‘দেশে শান্তি আছে!’ মিথ্যা যখন সত্যের গলা চেপে ধরে, জুলুম যখন ইনসাফের পথকে রুদ্ধ করে দেয় — তখন চায়ের কাপে চুমুক  বিস্তারিত
পর্ব ১৩ | তারা অত্যাচারিত হয়েছিলেন
lom 013
কষ্টের সংজ্ঞা আসলে কী? আমাদের চোখে কষ্ট মানে জীবনের জন্য কষ্ট। অনেক পরিশ্রম করে একটা ছেলে ভালো ফল করে যখন শহরে এসে ভালো চাকুরি করে দিন গুণতে থাকে — সেই দৃশ্য দেখে বলি, ‘আহ! ছেলেটা জীবনে অনেক কষ্ট করে জীবনে বড় হয়েছে!’ আমাদের আটপৌরে জীবনে কষ্ট বলতে আমরা কেবল বুঝি পড়ালেখার জন্য পরিশ্রম, সুটেড-বুটেড হয়ে কর্পোরেট মই বেয়ে ওপরে ওঠার সংগ্রাম, প্রচণ্ড গরমে বাসে দাঁড়িয়ে সিদ্ধ হবার বেদনা, প্রেমিকাকে না পেয়ে প্রেমিকের স্বপ্নভঙ্গ…কতোই না ক্লিশে, কতোই না সংকীর্ণ! মানুষ বড় অদ্ভুত! বিস্তারিত
পর্ব ১৪ | রাসূলুল্লাহর সা. দাওয়াহ
lom 014
আজকের এই পর্বে আমরা রাসূলুল্লাহর (সা) দাওয়াতের প্রাথমিক পর্যায়ের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমে আলোচনা শুরু করা যাক মাক্কী জীবনের দাওয়াত নিয়ে। আমরা সবাই জানি দীর্ঘ তেরো বছরের মাক্কী জীবনে আল্লাহর রাসূল (সা) মানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করেছেন। কিন্তু কী ছিল তার আহবান? তাঁর দাওয়াতের মূল বিষয়বস্তু কী ছিল? মাক্কী যুগে নাযিল হওয়া আয়াতগুলো যদি আমরা দেখি, সেগুলোর মূল থিম কয়েকটা বিষয়কে কেন্দ্র করে। সেগুলো হচ্ছে — তাওহীদ, রিসালাহ, পূর্ববর্তী নবীদের কাহিনি, তাক্বদীরে বিশ্বাস, জান্নাত এবং জাহান্নাম। বিস্তারিত
পর্ব ১৫ | আবিসিনিয়ায় হিজরত
lom 015
সীরাহ এর এই পর্বে আমরা আজকে আলোচনা করবো আবিসিনিয়ায় হিজরত নিয়ে। প্রকাশ্য দাওয়া শুরু হবার পর মক্কায় মুসলিমদের অবস্থা এতোটাই কঠিন হয়ে পড়ে যে সেখানে থাকা অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। আমরা যারা মুসলিম দেশে বড় হয়েছি, তারা সাধারণত এ ধরণের পরিস্থিতির মুখোমুখি হই না। ইসলামের জন্য, ঈমানের জন্য নিজের দেশ, নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বাধ্য হওয়া — নিঃসন্দেহে এটা কঠিন একটি পরীক্ষা। একজন মানুষের নিজের দেশ যতো রুক্ষ হোক, যতো বৈরি হোক, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা থাকুক — বিস্তারিত
পর্ব ১৬ | স্রোতের বিপরীতে তারা ক’জন
lom 016
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ইসলামের নাম জানে সত্য, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইসলাম আমাদের সময়ে একটি অপরিচিত ধর্মে পরিণত হয়েছে। এর কারণ হলো বর্তমান সময়ে মানুষের বিশ্বাস এবং সমাজব্যবস্থার সাথে ইসলামের বিশ্বাস এবং মূল্যবোধগুলো যায় না। ইসলামকে একটি সেকেলে ধর্ম হিসেবে প্রচার করা হয়। বলা হয়, ইসলাম একটি মধ্যযুগীয় ধর্ম, আধুনিক সময়ে ইসলামের রীতিনীতির কোনো স্থান নেই, বর্তমান বাস্তবতায় ইসলাম একটা অচল ধর্ম। ইসলামকে আঁকড়ে ধরতে গেলে এই যুগে আমরা পিছিয়ে যাবো। ইত্যাদি ইত্যাদি। বিস্তারিত
পর্ব ১৭ | উমার ইবন খাত্তাব রা. এবং হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব রা. এর ইসলাম গ্রহণ
lom 017
সীরাহ অডিও সিরিজে আমরা এখন অবস্থান করছি নবুওয়াতের পঞ্চম বছরে। আগের দিকের ঘটনাগুলোর দিকে ফিরে তাকানো যাক। আল্লাহর রাসূল (সা) হেরাগুহায় নবুওয়াত পাওয়ার পর তাঁর নিকটাত্মীয় এবং কাছের মানুষদের ইসলামের দিকে আহবান শুরু করেন। এভাবে চলছিল প্রায় তিন বছর। তখন কুরাইশরা ইসলাম সম্পর্কে জানলেও খুব একটা গা করেনি। তিন বছর পর যখন প্রকাশ্যে রাসূলুল্লাহ (সা) ইসলামের দাওয়াত নিয়ে এলেন এবং কুরাইশদের মিথ্যা দেবতাদের অস্বীকার করা শুরু করলেন, তখন কুরাইশরা শুরু করলো তাদের মিডিয়া প্রপাগান্ডা, যা  বিস্তারিত
পর্ব ১৮ | বয়কট
lom 018
উমার এবং হামযার ইসলাম গ্রহণ ছিল কুরাইশদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। এরপর যখন বনু হাশিম এবং বনু মুত্তালিব রাসূলুল্লাহকে (সা) রক্ষা করার জন্য একতাবদ্ধ হলো, সেটা ছিল কুরাইশদের জন্য দ্বিতীয় ধাক্কা। তারা বুঝতে পারলো ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সা) আর একা নন, তাঁর সাথে তাঁর গোত্রও আছে। তাই ইসলামের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে তারা আগের যেকোনো পন্থার চাইতে নিষ্ঠুর একটি পন্থা গ্রহণ করলো আর সেটি হচ্ছে বয়কট।কুরাইশদের বিভিন্ন গোত্র তখন বনু হাশিম এবং বনু আল মুত্তালিব–এ দুটো গোত্রের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে তাদেরকে সামাজিক ও  বিস্তারিত
পর্ব ১৯ | দুঃখের বছর
lom 019
মাক্কী জীবনের দশম বছরকে বলা হয় আমুল হুযন বা দুঃখের বছর। কুরাইশ কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার প্রায় ছয় মাস পরের ঘটনা, যে মানুষটি এতদিন ধরে রাসূলুল্লাহর (সা.) সুখে-দুঃখে তাঁর পাশে ছিলেন সেই আবু তালিব মৃত্যুশয্যায় শায়িত। রাসূলুল্লাহ (সা.) আবু তালিবের পাশে বসে তাকে বললেন, ‘চাচা, আপনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলুন। আপনি স্বীকার করে নিন আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আপনি আমাকে এ কথাগুলো বলে যান যেন আমি শেষ বিচারের দিন আপনার পক্ষ হয়ে আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দিতে পারি, আপনার শাস্তি মওকুফের  বিস্তারিত
পর্ব ২০ | আল ইসরা ওয়াল মি’রাজ
lom 020
আবু তালিব আর খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা যখন বিদায় নিলেন, শুরু হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য দুঃখের বছর। আবু তালিবের অনুপস্থিতিতে কুরাইশরা অনেক বেপরোয়া হয়ে ওঠে, যা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এর উপর যখন তাইফের লোকেরা রাসূলুল্লাহকে (সা) খুব বাজেভাবে প্রত্যাখ্যান করলো, তখন সেটা ছিল কষ্টের ওপর আরো কষ্ট যোগ করলো। নিরাপত্তাহীনতা, অসহায়ত্ব আর একাকীত্ব যেন রাসূলুল্লাহকে (সা) ঘিরে ধরলো। আর তখনই ঘটলো এক বিস্ময়কর ঘটনা — আল ইসরা ওয়াল মি’রাজ। বিস্তারিত
পর্ব ২১ | নতুন ভূমির সন্ধানে
lom 021
তাইফ থেকে ফেরার পর রাসূলুল্লাহ (সা.) কার্যত নিরাপত্তাহীন হয়ে গেলেন। কারণ, একে তো আবু তালিব নেই, দ্বিতীয়ত তাইফের আল্লাহর রাসূলের (সা) সাথে কী হয়েছিল সেই কাহিনী মক্কাবাসীরা জেনে যায়। তাই একাকী মক্কায় প্রবেশ করা তাঁর জন্য নিরাপদ ছিল না। তাই তিনি নিজ শহরে প্রবেশ করার জন্য নিরাপত্তা চেয়ে উরাইক্বাতের মাধ্যমে আল আখনাস বিন শুরাইকের কাছে সংবাদ পাঠালেন। আখনাস বিন শুরাইক ছিল মক্কার লোক, তার সাথে কুরাইশদের সম্পর্ক ভালোই ছিল, যদিও সে কুরাইশী ছিল না। রাসূলুল্লাহর (সা.) কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বিস্তারিত
পর্ব ২২ | ইসলামের দূর্গঃ আল-আনসার
lom 022
আগের পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম মক্কার বাইরে বিভিন্ন গোত্রের সাথে রাসূলুল্লাহর (সা) দাওয়াত এবং তাদের কাছে প্রতিরক্ষা চাওয়ার বিষয়ে। দুটি গোত্রের কথা আমরা আলোচনা করেছি, বনু কিন্দা এবং বনু আমীর ইবন সা’সা’ — যারা আল্লাহর রাসূলকে (সা) প্রটেকশন দিতে রাজি হয়েছিল সত্যি কিন্তু সেটা ছিল রাজনৈতিক কারণে, ক্ষমতা লাভের আশায়। তারা স্বপ্ন দেখছিল আল্লাহর রাসূলের (সা) নেতৃত্বগুণ এবং ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগিয়ে একদিন তারা সমগ্র আরবের রাজা হবে। কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সা) তাদেরকে ক্ষমতার কোনো আশ্বাসই দেননি।  বিস্তারিত
পর্ব ২৩ | আক্বাবার দ্বিতীয় শপথ
lom 023
যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) আনসারদের কাছে তাঁর চুক্তির শর্তগুলো সম্পর্কে বলেছিলেন, তখন তাঁদের প্রশ্ন ছিল, ‘বিনিময়ে আমরা কী পাবো?’ রাসূলুল্লাহ (সা.) এক শব্দে উত্তর দিয়েছিলেন, জান্নাহ। এখানে থেকে শিক্ষা পাওয়া যায় যে, সকল ইসলামী কর্মকাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্য শুধুমাত্র জান্নাত, আল্লাহ আযযা ওয়াজালকে সন্তুষ্ট করাই প্রতিটি কাজের মূল উদ্দেশ্য — খ্যাতির জন্য নয়, অর্থের জন্য নয়, সামাজিকতার জন্যেও নয়। প্রতিনিয়ত নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিজেদের জিজ্ঞেস করা উচিত — ইসলামের জন্য যে ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করছি, তা কেন করছি? বিস্তারিত
পর্ব ২৪ | সাহাবীদের রা. হিজরত
lom 024
আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো মক্কা থেকে মদীনার উদ্দেশ্যে মুসলিমদের হিজরত নিয়ে। দীর্ঘ ১৩ বছর মক্কায় অবস্থানের পর রাসূলুল্লাহ (সা) ও তাঁর সাহাবারা মদীনায় হিজরত করেন। এই হিজরত কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। এর পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি বছরের প্রস্তুতি। এর আগের দুটো পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম মদীনায় কীভাবে ইসলাম প্রবেশ করলো এবং একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে নিল। মদীনাকে স্থায়ী আবাস হিসেবে নির্ধারণ করতে রাসূলুল্লাহ (সা) প্রায় দুই বছর সময় নিয়েছিলেন। তিনি মুসআবকে তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।  বিস্তারিত
পর্ব ২৫ | রাসূলুল্লাহর সা. হিজরাহ
lom 025
মুশরিকরা যখন দেখলো মুসলিমরা একে একে পরিবার-পরিজন নিয়ে ধন-সম্পদ ফেলে মদীনায় জমা হচ্ছে তারা খুব অস্থির হয়ে গেল। মুসলিমদের মদীনায় হিজরতের ফলাফল কী হতে পারে তা তাদের অজানা ছিল না। তারা টের পেয়েছিল আওস এবং খাযরাজ গোত্র রাসূলুল্লাহর নেতৃত্বে এক হচ্ছে এবং তাদের মিলিত শক্তির সাথে পেরে ওঠা সহজ কথা নয়। তারা দুটি বিষয় নিয়ে আশঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রথমত, মদীনায় মুসলিমদের ঘাঁটি গড়ার অর্থ হল, তাদের দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক পথ অনিরাপদ হয়ে যাওয়া, কেননা কুরাইশদের ব্যবসা ছিল ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তারিত
পর্ব ২৬ | ইয়াসরিব হলো মদীনা
lom 026
আজকে আমরা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, আর তা হচ্ছে আল্লাহর রাসূলের (সা) মদীনার জীবন। এই অধ্যায়টি আগের অধ্যায়ের চাইতে আলাদা, কারণ এখানে মুসলিমরাই শক্তিশালী, তাদের হাতেই ক্ষমতা। আল্লাহর রাসূল (সা) যখন মক্কা থেকে মদীনায় আসেন, তখন আল্লাহর কাছে একটি দুআ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির আগে আমি তো কিছুই ছিলাম না। হে আল্লাহ! দুনিয়ার ভয়াবহতা, কালের কঠোরতা এবং দিবা-রাত্রির বিপদাপদকে উৎরে যেতে তুমি আমাকে সাহায্য করো বিস্তারিত
পর্ব ২৭ | মসজিদে নববী নির্মাণ
lom 027
মদীনায় পা ফেলার পর প্রথম দিন থেকে নবীজি এই রাষ্ট্রকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ শুরু করেন। মদীনার শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন ও বজায় রাখার জন্য তিনি কাজ শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই নবগঠিত একটি রাষ্ট্রে অনেকগুলো জটিলতা থাকে। নবীজি (সা) সেগুলোকে চিহ্নিত করেন এবং সে অনুযায়ী বেশ কিছু প্রজেক্ট হাতে নেন। এই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতা যেমন ছিল, তেমনি ছিল বহিঃশত্রুর আক্রমণের হুমকি। যেমন মুহাজিররা মদীনায় আসার কারণে মদীনায় কিছুটা অর্থনৈতিক ক্রাইসিস তৈরি হয়। বিস্তারিত
পর্ব ২৮ | ভ্রাতৃত্বের সূচনা
lom 028
সীরাহ অডিও লেকচার সিরিজের ২৮ তম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে মুআখা বা ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা। তৎকালীন আরব সমাজ ছিল প্রচণ্ডভাবে বিভক্ত একটি সমাজ। এই বিভক্তির পেছনে মূল কারণ ছিল তাদের গোত্রীয় ধ্যান-ধারণা। একেকটি গোত্র ছিল একেকটি বড় পরিবার, আর প্রত্যেকে প্রত্যেকের গোত্র নিয়ে গর্ব করতো। নিজ গোত্রে ঠিক করুক আর ভুল করুক হোক, প্রত্যেকে নিজ গোত্রের পক্ষ নেবে। স্রেফ গোত্রীয় সম্মান আর মর্যাদা রক্ষার জন্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হতে আরবরা দ্বিধাবোধ করতো না। বিস্তারিত
পর্ব ২৯ | মদীনার সনদ
lom 029
মদীনায় ছিল বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস ও গোত্রের বসবাস। তিন ধর্মের লোক ছিল মদীনায় — মুসলিম, ইহুদি ও মুশরিক। মুসলিমদেরকে প্রথমে দু’ভাগে ভাগ করা যায় — মক্কা থেকে আগত মুহাজির এবং মদীনার স্থানীয় মুসলিম, যাদের বলা হতো আনসার। মুহাজিরদের বেশিরভাগ ছিলেন কুরাইশ, তবে কুরাইশ কোনো একটি গোত্র ছিল না, বরং অনেকগুলো গোত্রের সম্মিলন ছিল কুরাইশ। মুহাজিরদের মধ্যে উসমান ইবন আফফানের (রা) মতো মুসলিম ছিলেন যিনি ছিলেন মক্কার সম্মানিত গোত্র উমাইয়ার একজন সদস্য। আবার মুহাজিরদের মধ্যে বিলাল (রা) ছিলেন, যিনি ছিলেন একজন বিস্তারিত
পর্ব ৩০ | মুসলিম বাহিনী গঠন
lom 030
জিহাদের হুকুম নাযিল হয়েছে কয়েকটি ধাপে, ইবনুল কায়্যিম তাঁর যা’দ-উল-মাআদ গ্রন্থে বলেছেন প্রাথমিক যুগে জিহাদ নিষিদ্ধ ছিল, জিহাদ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিছু মুসলিম মাক্কী যুগে একবার নবীজির (সা) কাছে জিহাদ করার অনুমতি চাইলেন। তখন নবীজি তাদের বললেন, ‘তোমরা ধৈর্য ধরো। আমি এখনো যুদ্ধ করার ব্যাপারে আদেশপ্রাপ্ত হইনি।’ মাক্কী যুগে অস্ত্র না ধরাই ছিল মুসলিমদের ওপর হুকুম। প্রথম ধাপে রাসূলুল্লাহ (সা.) মুসলিমদের ধৈর্যধারণ করতে বলেছেন। মক্কায় যারা ঈমান এনেছিলেন তাদের উপর কাফেররা নানাভাবে অত্যাচার করত তবুও তাদেরকে  বিস্তারিত
পর্ব ৩১ | মদীনার দিনগুলি
lom 031
মুসলিমদের জন্য মদীনায় আল্লাহর রাসূলের হিজরাহ ছিল এক মহা আনন্দের ঘটনা। আল্লাহর রাসূল (সা) যখন মদীনায় এলেন তখন মদীনা ছিল আলোকিত, চারদিকে সাজ সাজ রব। কিন্তু এই খুশিতে আসলে সবাই শরীক ছিল না। মদীনার মুশরিক আর ইহুদিরা খুশি হতে পারে নি। এর কারণ হলো তাদের অহংকার, গোঁড়ামি এবং হিংসা। ইহুদিদের মনের অবস্থা আঁচ করা যায় মদীনার দুই শীর্ষস্থানীয় ইহুদি নেতা–হুয়াই ইবন আখতাব আর আবু ইয়াসির ইবন আখতাবের একটি সংক্ষিপ্ত কথোপকথন থেকে। এই ঘটনাও মদীনার একদম প্রথমদিকের ঘটনা। এ দু’জন ব্যক্তি ছিল যথাক্রমে বিস্তারিত
পর্ব ৩২ | জিহাদের সূচনা
lom 032
আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো মদীনার ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ও ইসলামের দাওয়াতকে সম্প্রসারিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা) কী কী সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সত্যি বলতে পুরো মাদানী যুগ ধরে একটা বড় অংশ জুড়ে সীরাতে আলোচিত হয় এসব সামরিক অভিযান বা জিহাদের কাহিনী। একেকটি সামরিক অভিযানের প্রকৃতি ছিল একেক রকম। কোনোটা ছিল আক্রমণাত্মক, কোনোটা ছিল রক্ষণাত্মক। কিছু অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল স্রেফ শত্রুদেরকে ভীত সন্তস্ত্র করা, কোনো অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল কোনো গোত্রকে বশ মানতে বাধ্য করা, কোনো অভিযানের উদ্দেশ্য বিস্তারিত
পর্ব ৩৩ | বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও প্রস্তুতি
lom 033
আতিকা বিনত আবদুল মুত্তালিব ছিলেন রাসূলুল্লাহর (সা.) ফুপু, তিনি মক্কায় থাকতেন। ঘটনার এ পর্যায়ে একরাতে তিনি একটি স্বপ্ন দেখেন। আতিকা তখনও মুসলিম হননি, তিনি মুসলিম হয়েছিলেন মক্কা বিজয়ের পরে। স্বপ্নে তিনি দেখলেন যে একটা লোক উটে চড়ে দ্রুত মক্কার দিকে ধেয়ে আসছে এবং সে মক্কার অধিবাসীদেরকে চিৎকার করে ডাকছে। তার উট প্রথমে কাবাঘরের উপর, তারপর মক্কার এক পাহাড়ের চূড়ার উপর গিয়ে দাঁড়াল। তারপর সে কুরাইশদের সাবধান করে বলল, ‘তিনদিনের মধ্যে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে!’ এ কথা বলে লোকটি একটি পাথর নিয়ে পাহাড়ের  বিস্তারিত
পর্ব ৩৪ | ময়দানে মুখোমুখি
lom 034
সীরাহ সিরিজের ৩৪তম পর্বে আমরা অবস্থান করছি বদর যুদ্ধে প্রাক্কালে। বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কুরাইশদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কাফেলা আক্রমণকে কেন্দ্র করে। মুসলিমদের কোনো ধারণাই ছিল না তারা একটি কাফেলা আক্রমণ করতে গিয়ে এত বিশাল বাহিনীর সম্মুখীন হবে। অন্যদিকে কুরাইশরা চাচ্ছিল একটা বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে হামলা করে মুসলিমদের এমনভাবে গুড়িয়ে দিতে যেন পুরো জাযিরাতুল আরবের লোকেরা একটি বার্তা পায় আর তা হলো — কুরাইশদের সাথে কখনো লাগতে যেও না! আল্লাহ তাআলা বলেন, বিস্তারিত
পর্ব ৩৫ | বদরের ময়দানে
lom 035
বদরের যুদ্ধের কিছুক্ষণ আগে রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন সৈনিকদের সারি সোজা করছিলেন তখন একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটে। নবীজির (সা) হাতে একটি তীর। তিনি যুদ্ধে সেনাদের সারি সোজা করছেন। তিনি এমনভাবে সৈনিকদের সারি সোজা করে সাজাতেন যেন মনে হতো তিনি সৈনিকদের সারি নয় বরং সালাতের কাতার সোজা করছেন, অর্থাৎ একদম সোজা রাখতেন। সারিতে দাঁড়ানো এক সৈন্যের নাম ছিল সাওয়াদ বিন গাযিয়াহ (রা)। তিনি তার সারি থেকে একটু সামনে এগিয়ে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ তাঁর পেটে আস্তে করে তীর দিয়ে একটি খোঁচা দিয়ে তাঁকে সারির ভেতর ঠেলে দিলেন। বিস্তারিত
পর্ব ৩৬ | বদর যুদ্ধের কিছু টুকরো ঘটনা
lom 036
বদরের যুদ্ধ এমন একটি দিন যা আকাশ ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও নিকৃষ্ট সব সত্তাকে মুখোমুখি করেছিল। শয়তানদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট শয়তান ইবলিস সেদিন উপস্থিত ছিল, তেমনি উপস্থিত ছিলেন ফেরেশতাদের মধ্যে সেরা জিবরীল। বদরের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিল আবু জাহল, উক্ববাহ আর উতবাহ, অন্য পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুহাম্মাদ (সা), আবু বকর এবং উমার (রা)। আর তাই এ দিনটি ছিল সত্যিকারের ফুরক্বানের দিন, যা সত্য আর মিথ্যাকে স্পষ্টভাবে আলাদা করে দিয়েছিল।  বিস্তারিত
পর্ব ৩৭ | বদরের শিক্ষা ও প্রভাব
lom 037
বদর যুদ্ধের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হচ্ছে — বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। বিজয় সৈন্য-সামন্ত বা তাদের অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে আসে না, বরং আল্লাহ তাআলা এগুলোকে কাজে লাগানোর তৌফিক্ব দেন এবং তিনিই বিজয় দান করেন। দুনিয়াবী পরিসংখ্যান আর তত্ত্ব-উপাত্তই যদি একমাত্র সত্য আর বাস্তবতা হতো, তবে বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের জয়ী হবার কোনো কারণ ছিল না, কুরাইশদের হেরে যাবার কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টোটা, মুসলিমরা কুরাইশদের পরাজিত করেছে। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার জিনিসগুলোকে তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী কারো পক্ষে কাজে বিস্তারিত
পর্ব ৩৮ | মদিনায় নতুন শত্রু
lom 038
ইহুদিদের সাথে মুসলিমদের এই বিরোধ জাতিগত বিদ্বেষঘটিত কিছু নয়। এই বিরোধ ‘আরব বনাম ইহুদি’ বিরোধও নয়, বরং এই বিরোধ বিশ্বাসের বিরোধ, এই বিরোধ আদর্শিক দ্বন্দ্ব থেকে উৎসারিত বিরোধ। মুসলিম উম্মাহর একটা বড় অংশ শুরুতে জাতিগতভাবে ইহুদিই ছিল। মুসলিমরা একটি বিশ্বাসভিত্তিক জাতি। আরব, বাঙালি, ভারতীয়, আফ্রিকান বা ইউরোপিয়ান, জাতিপরিচয় (Ethnicity) যা-ই হোক — যে কেউই মুসলিম হতে পারে, শুধু তাদের ঈমানের কালিমায় বিশ্বাস এবং সে অনুসারে আমল করতে হবে। কিন্তু ইহুদিদের ক্ষেত্রে তেমন নয়। ইহুদি ধর্মের অনুসারী হতে হলে বিস্তারিত
পর্ব ৩৯ | বনু ক্বায়নুকার অবরোধ
lom 039
বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল হিজরী ২য় বর্ষে, আর উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল ৩য় বর্ষে। এই এক বছরের ঘটনাবলী নিয়ে আমাদের আজকের পর্ব। আজকের পর্ব আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করবো। প্রথম ভাগে আলোচনা করবো বনু কায়নুকার অবরোধ নিয়ে। বনু কায়নুকা হচ্ছে মদীনার একটি ইহুদী গোত্র। যারা বদরের পর থেকেই বেশ শত্রুভাবাপন্ন হয় ওঠে। এক পর্যায়ে তারা বিদ্রোহ করে বসে এবং মদীনা থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। এটিই ছিল এ সময়ের মধ্যে সংঘটিত একমাত্র বড় একটি অভিযান। দ্বিতীয় ভাগে আমরা আলোচনা করবো কয়েকটি সারিয়া বা সামরিক অভিযান নিয়ে। বিস্তারিত
পর্ব ৪০ | উহুদের ময়দানে
lom 040
সীরাহ সিরিজে আমাদের আজকের পর্ব উহুদের যুদ্ধ নিয়ে। বদরের পরেই যে নামটি আসে সেটি হচ্ছে উহুদ। উহুদের যুদ্ধ ছিল বদরের প্রত্যক্ষ ফলাফল। বদরের যুদ্ধে কুরাইশরা পরাজিত হয়েছে বলেই উহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আমরা ৪টি পর্ব জুড়ে কেবল উহুদের যুদ্ধ নিয়েই আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ। প্রথম পর্বে আলোচিত হবে উহুদ যুদ্ধের কারণ,  দুই বাহিনীর প্রস্তুতি, মুনাফিক্বদের পিছুটান, মুসলিমদের রণকৌশল  দ্বন্দ্বযুদ্ধ এবং যুদ্ধের প্রথমভাগ যেখানে মুসলিমরাই ছিল এগিয়ে বিস্তারিত
পর্ব ৪১ | বিপর্যয়
lom 041
গত পর্বে আমরা আলোচনা শেষ করেছিলাম উহুদ যুদ্ধের প্রথম অংশে। কুরাইশরা তিন হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কা থেকে মদীনার দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এসেছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল মদীনা দখল করে মুসলিমদের ধ্বংস করবে। অন্যদিকে মুসলিমরা প্রথমে এক হাজার সৈনিক নিয়ে কুরাইশদের মুখোমুখি হবার জন্য বের হলেও পথিমধ্যে মুনাফিক্বদের নেতা আবদুল্লাহ ইবন উবাই তার তিনশো সৈনিক নিয়ে বের হয়ে মদীনার দিকে ফিরে যায়। তাই সাতশোর মত মুসলিম মুজাহিদ উহুদের ময়দানে কুরাইশদের মুখোমুখি হয়। সংখ্যায় কম হলেও মুসলিমরা সুসংগঠিত হয়ে সাহসের সাথে লড়তে থাকে বিস্তারিত
পর্ব ৪২ | উহুদের শহীদেরা
lom 042
‘আমরা হিজরত করেছিলাম আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়, আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরষ্কারের আশায়। আমাদের মধ্যে কিছু লোক ছিল যারা এই পুরষ্কারের কোনো অংশই দুনিয়ার বুকে লাভ করেনি। তারা সমস্ত পুরস্কার জমা করে রেখেছে আখিরাতের জন্য। আর মুসআব ইবন উমাইর তেমনই একজন। দুনিয়াতে সে রেখে গিয়েছিল শুধু গায়ে জড়ানোর এক টুকরো চাদর। সে চাদর দিয়ে যখন আমরা তাঁর মাথা ঢাকতে যাই, তাঁর পা বের হয়ে আসে। আর যখন পা ঢাকতে যাই, মাথা বের হয়ে আসে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাঁর মাথাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়ে পা দুটো বিস্তারিত
পর্ব ৪৩ | উহুদের শিক্ষা
lom 043
সীরাহ সিরিজের আমাদের আজকের পর্বটি হচ্ছে উহুদের শিক্ষা নিয়ে। পুরো পর্বজুড়ে আমরা কেবল উহুদ যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো এবং এই আলোচনাটি হবে কুরআনের আলোকে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বেশ কিছু জিহাদের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। যেমন সূরা আনফালের একটা বড় অংশই কথা বলেছে কেবল বদরের যুদ্ধ নিয়ে। উহুদের যুদ্ধ নিয়ে আল্লাহ তাআলা অনেক আয়াত নাযিল করেছেন, সরা আল ইমরানের দ্বিতীয় অর্ধেকটা জুড়ে উহুদ যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন।  বিস্তারিত
পর্ব ৪৪ | উহুদ পরবর্তী সংকট
lom 044
বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলিমদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বিজয়, যার ফলে পুরো আরবরাই মুসলিমদেরকে সমীহের চোখে দেখতে শুরু করে। অন্যদিকে উহুদের যুদ্ধে মুসলিমদের একটি বড়সড় বিপর্যয় হয়েছিল, যে কারণে মুসলিমদের অবস্থান কিছুটা পিছিয়ে যায়। যদিও এ যুদ্ধে কুরাইশরা সুস্পষ্টভাবে মুসলিমদের ওপর আধিপত্য অর্জন করতে পারেনি, তবু তারা নানাভাবে এ যুদ্ধকে নিজেদের বিজয় হিসেবে প্রচার করতে থাকে। এ কাজে তাদের কবিরা বিভিন্ন কবিতায় কুরাইশদের গুণগাণ গাইতে থাকে। বিস্তারিত
পর্ব ৪৫বনু নাযীরের অভিযান
lom 045
কাপুরুষতা কাফির সেনাদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। সুরক্ষিত অবস্থা ছাড়া তারা যুদ্ধ করে না, করতে চায় না। তাদের এই চারিত্রিক দিকটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ পেয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে দেখা যায় যে, তারা দুর্গের ভেতরে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে যুদ্ধ করতো। ক্রুসেড যুদ্ধের সময়ও তাই। সিরিয়াতে ক্রুসেডারদের বানানো কিছু দুর্গ এখনো দেখতে পাওয়া যায়স্থাপত্যশৈলির বিচারে সেগুলো খুবই চমৎকার বিস্তারিত
পর্ব ৪৬ ইফকের ঘটনা
lom 046
এমন সময় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। আমার পাশে এসে বসলেন। এই ঘটনার পর এই প্রথম তিনি আমার পাশে বসলেন। আমাকে বললেন, শোনো আইশা, তোমার ব্যাপারে আমি এই এই কথা শুনেছি। তুমি যদি নির্দোষ হয়ে থাকো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। আর যদি কোনো পাপ করে থাকো তাহলে আল্লাহর কাছে তাওবা করো। যখন বান্দা আল্লাহর কাছে তার দোষ স্বীকার করে তখন তিনি বান্দার তাওবা কবুল করে নেন। বিস্তারিত
পর্ব ৪৭খন্দক্বের যুদ্ধ
lom47
সীরাহ সিরিজে আমাদের আজকের আলোচনা হলো খন্দক্বের যুদ্ধ। বদর আর উহুদের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খন্দক্ব বা আহযাবের যুদ্ধ। খন্দক্বের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটি যুদ্ধ। এই যুদ্ধ যতটা না ছিল ঢাল-তলোয়ারের যুদ্ধ, তার চাইতে বেশি ছিল স্নায়ুযুদ্ধ। এ যুদ্ধ মুসলিমদের যে সংকটের মুখোমুখি দাঁড় হতে হয় তা আর কখনো হয়নি। না এর আগে, না এর পরে। বলা যেতে পারে, মদীনায় আসার পর মুসলিমদের অবস্থা এ যুদ্ধের মতো এতোটা সঙ্গীন আর কখনো হয়নি। উহুদের যুদ্ধে মুসলিমদের একটা বড় বিপর্যয় হয়েছিল।  বিস্তারিত
পর্ব ৪৮ খন্দক্বের যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব
lom 48
কুরাইশ আর ইহুদিদের সাথে মুসলিমদের বিরোধ ছিল মূলত ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিরোধ। তারা নিছক অর্থ-সম্পদের জন্য লড়ছিল না, যদিও অর্থনৈতিক একটি কারণ এসব যুদ্ধের পেছনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কুরাইশরা জানতো মুসলিমদের দমন করতে না পারলে আরবে তাদের আদর্শ, প্রভাব, প্রতিপত্তি সবই বিলীন হয়ে যাবে। তাদের কাছে এটা টাকা-পয়সা থেকেও গুরুতর বিষয়। ইসলামের উত্থান মানে তাদের জন্য অস্তিত্বের প্রশ্ন। অন্যদিকে গাতফানের উদ্দেশ্য ছিল শুধুই অর্থনৈতিক স্বার্থ। এরা ছিল অনেকগুলো গোত্রের সমন্বয়। এদের রাজনৈতিক কোনো ভিশন ছিল না। বিস্তারিত

পর্ব ৪৯ | বনু কুরায়যার পরিণতি

সীরাহ সিরিজে আমাদের আজকের আলোচনা হলো খন্দক্বের যুদ্ধ। বদর আর উহুদের পর বনু কুরায়যার ঘটনা ইসলামবিদ্বেষীদের একটি প্রিয় হাতিয়ার। সন্দেহ নেই বনু কুরায়যাকে অত্যন্ত গুরুতর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। কয়েকশো পুরুষকে হত্যা করা হয়েছে, নারী-শিশুদের দাস বানানো হয়েছে, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসব দেখিয়ে ইসলামবিদ্বেষীরা বলতে চায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন নিষ্ঠুর, মুসলিমরা হলো বর্বর।
বিস্তারিত
পর্ব ৫০যাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা এর সাথে রাসূলুল্লাহ সা. এর বিয়ে
সীরাহ অডিও সিরিজ এর পর্ব ৫০ তম পর্বের মূল বিষয় যাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহা এর সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিয়ে। বিস্তারিত
পর্ব ৫১ | ষষ্ঠ হিজরির অভিযান
আমরা আজকে হিজরী ষষ্ট বছরের কিছু সারিয়া বা সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করবো। পঞ্চম বছরে খন্দক্বের যুদ্ধে কুরাইশ ও গাতফানদের জোট মুসলিমদের পরাজিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় সবার মনে এ ধারণা মোটামুটিভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে যে মুসলিমদেরকে তারা আর পরাজিত করতে সমর্থ হবে না। কারণ এর থেকেও বড় ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী একত্রিত করে আবারও মদীনা আক্রমণ করার পরিকল্পনা করা মোটামুটি অবাস্তব একটি পরিকল্পনা হয়ে দাঁড়ায়। বিস্তারিত
পর্ব ৫২ | বাইয়াতুর রিদওয়ান
কা’বার একটা অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তি আছে। যে কা’বাকে একবার দেখে, সে বার বার সেখানে ফিরে যেতে চায়। তীব্র একটা টান তাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, বাইতুল্লাহ হলো মাসাবাহ। মাসাবাহ মানে সম্মিলনস্থল। কোনো বাচ্চা উট যখন খেলতে যায়, সে একটু পর পর তার মাকে দেখার জন্য ফিরে আসে। এই বিষয়টাকে বলে মাসাবাহ। কা’বাঘর ঠিক তেমনই মানুষের জন্য মাসাবাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইবরাহীম আলাইহিসসালাতু ওয়াসসালাম এর দুআর কারণে বিস্তারিত
পর্ব ৫৩হুদাইবিয়ার সন্ধি
রাসূলুল্লাহ (সা) এবং সুহাইল ইবন আমর বেশ খানিকক্ষণ ধরে সন্ধির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করলেন। তবে মুসলিমরা যাতে সে বছর মক্কায় প্রবেশ করতে না পারে — সে ব্যাপারে কাফিররা ছিল বদ্ধপরিকর। এই একটা জায়গাতে তারা কিছুতেই ছাড় দেবে না। তারা এটা মানতেই পারছিল না যে, লোকে বলাবলি করবে রাসূলুল্লাহ (সা) তাদের ওপর জোর খাটিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতে পেরেছে। এটা ছিল তাদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন। নবীজি (সা) এই বিষয়ে তাদের সাথে আপস করার বহু চেষ্টা করলেন।  বিস্তারিত
পর্ব ৫৪ | খাইবারের যুদ্ধ
খাইবারের সময়ের ঘটনা, গিফারের এক মহিলা আল্লাহর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে গিয়ে বললেন, ‘আমরা আপনার সাথে ময়দানে যেতে চাই, যাতে আমরা আহতদের সেবা করতে পারি এবং মুসলিমদের অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করতে পারি।’ রাসূলুল্লাহ (সা) রাজি হলেন। গিফার গোত্রের কথা আগেই বলা হয়েছে, এরা ছিল ডাকাত গোছের একটি কুখ্যাত গোত্র। কিন্তু আবু যার আল গিফারীর (রা) বদৌলতে এই গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। আর ইসলামের আলো তাদের পুরোপুরি বদলে দেয়।বিস্তারিত
পর্ব ৫৪ | খাইবার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
সীরাত সিরিজের পর্ব ৫৫ তে আলোচিত হবে খাইবার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ। যেমন,
✓ সাফিয়া বিনত হুয়াই রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে নবীজি সা. এর বিয়ে।
✓ আবিসিনিয়া থেকে মুহাজিরীনদের প্রত্যাবর্তন।
✓ ৭ম হিজরীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযানের কাহিনী।
✓ আল-হাজ্জাজ ইবন ইলাত আস-সালামির (রা) ঘটনা
✓ উমরাতুল কাযা
বিস্তারিত

পর্ব ৫৬ | আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে চিঠি

‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
এই চিঠিটি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদের (সা) পক্ষ থেকে রোমের সম্রাট হিরাকলের উদ্দেশ্যে। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের প্রতি যারা সত্য পথের অনুসরণ করে। আমি আপনাদের ইসলামের প্রতি আহবান করছি। আত্মসমর্পণ করুন এবং ইসলাম গ্রহণ করুন, আপনি নিরাপদ হয়ে যাবেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে দ্বিগুণ পুরষ্কারে পুরষ্কৃত করবেন। আর যদি আপনি অস্বীকৃতি জানান, তবে আরিসিয়ীনদের (তার দেশের নাগরিকদের কথা বলা হচ্ছে) দায়ভারও আপনার উপর পড়বে।
বিস্তারিত
পর্ব ৫৭মু’তার যুদ্ধ
সীরাহ সিরিজের গত পর্বে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে পাঠানো রাসূলুল্লাহর (সা) কয়েকটি চিঠি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এই চিঠিগুলো আরবের বাহিরে বহির্বিশ্বে ইসলামের সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছিল হুদাইবিয়ার সন্ধির পরে। আর খাইবার যুদ্ধের পরেই মু’তার যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামের বৈশ্বিক মিশন বাস্তবায়ন শুরু হয়। রাসূলুল্লাহর (সা) জীবনের এই পর্যায় পর্যন্ত যতগুলো জিহাদ হয়েছে সেগুলোর পরিধি মূলত আরবের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক শক্তিগুলো দমন করা পর্যন্তই বিস্তৃত ছিল। তাই মু’তার যুদ্ধকে বলা যেতে পারে একটি নতুন পর্যায়ের সূচনাবিন্দু, বিস্তারিত
পর্ব ৫৮ | বিজয়ের পথে
সুলহুল হুদাইবিয়া ছিল দশ বছরের জন্য, কিন্তু এক বছরের কিছু বেশি সময় যেতেই কাফিররা চুক্তিভঙ্গ করে। এই ঘটনার পর আবু সুফিয়ান বুঝতে পারলো কুরাইশরা খুব বড় একটা ভুল করে ফেলেছে। সে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। সে বুঝতে পারছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই চুক্তিভঙ্গের বিষয়টা এমনি এমনি ছেড়ে দেবেন না। তড়িঘড়ি করে সে মদীনার দিকে যাত্রা শুরু করে। মদীনায় গিয়ে প্রথমেই যায় মেয়ে উম্মে হাবিবার (রাহা) বাসায়। উম্মে হাবিবা ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন, নবীজির (সা) স্ত্রী। বাসায় ঢুকে আবু সুফিয়ান মেঝেতে পাতা মাদুরে বসতে যাবে — ওমনি উম্মে হাবিবা টান মেরে সেটা গুটিয়ে ফেলতে লাগলেন।  বিস্তারিত

পর্ব ৫৯ | মক্কা বিজয়

বিজয়ীর বেশে আজ মক্কার রাজপথ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আল্লাহর রাসূল (সা)। কিন্তু কোথাও কোনো কুচকাওয়াজ নেই, নেই কামানের শব্দের মিথ্যে জৌলুস। জাতীয় সঙ্গীতের বাজনা নেই, উন্মত্ত-উল্লাসধ্বনি নেই, কোনো লাল গালিচাও পাতা নেই। পরাক্রমশালী এক বাহিনী, অথচ কোনো অহংকারের ছাপ নেই। বুক উঁচু করে, অবনত মস্তকে, আল্লাহর প্রতি বিনম্র চিত্তে বিজয়ী রাসূলুল্লাহ (সা) প্রবেশ করছেন। তিনি উটের পিঠে বসা। শহরে ঢোকার সময় তিনি আল্লাহর কাছে সিজদা দিয়ে আছেন। এতটাই নিচু হয়ে আছেন যে তাঁর দাড়ি উটের সাথে লেগে আছে। তাঁর মধ্যে ঔদ্ধত্য নেই, আছে নম্রতা। উত্তেজনা নেই, আছে সাকিনাহ। আল্লাহর রাসূল (সা) কাবার চারিদিকে তাওয়াফ করলেন। বিস্তারিত
পর্ব ৬০ | মক্কা বিজয়ের পরে
আমর ইবন সালামা (রাদ্বিয়াল্লহু আনহু) ছিলেন মক্কার বাইরে থেকে আসা একজন সাহাবি। তিনি তার ছোটবেলার কথা বর্ণনা করেন, ‘আমাদের সামনে দিয়ে কোনো মুসাফির গেলেই আমরা তাকে মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কথা জিজ্ঞেস করতাম। তারা বলতো, তিনি দাবি করেছেন যে, আল্লাহ তাঁকে পাঠিয়েছেন আর তাঁর কাছে আল্লাহর কাছ থেকে ওয়াহী আসে। আর তিনি মাত্রই অমুক-তমুক ব্যাপারে ওয়াহী লাভ করেছেন। আমি এমনভাবে এই শব্দগুলো (কুরআনের আয়াত) মুখস্থ করতাম যে তা আমার অন্তরে গেঁথে গিয়েছিল।’ অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে গোটা আরব অনেক আগে থেকেই খোঁজ খবর রাখত। যদিও তখনো তাদের বেশিরভাগ মুসলিম হয়নি।  বিস্তারিত

পর্ব ৬১ | হুনাইনের যুদ্ধ

বিজয়ীর বেশে আজ মক্কার রাজপথ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আল্লাহর রাসূল (সা)। কিন্তু কোথাও কোনো কুচকাওয়াজ নেই, নেই কামানের শব্দের মিথ্যে জৌলুস। জাতীয় সঙ্গীতের বাজনা নেই, মক্কা বিজয়ের আগ পর্যন্ত ইসলামের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক শক্তি ছিল কুরাইশরা। মক্কা বিজয়ের পরে আরও একটি শক্তি তখনও ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে কাজ করছিল। তাদের কথা কুরআনেও ইঙ্গিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর তারা বলে, এ কুরআন কেন দুই জনপদের মধ্যকার কোনো মহান ব্যক্তির উপর নাযিল করা হলো না?” (সূরা ফুসসিলাত, ৪১: ৩১) বিস্তারিত
পর্ব ৬২ | তাইফের অবরোধ
রাসূলুল্লাহ (সা) হুনাইনের যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ দিয়েছিলেন কুরাইশ আর আরব গোত্রগুলোকে। অন্যান্য যুদ্ধের সাথে পার্থক্য হলো হুনাইনের গনিমতের পরিমাণ ছিল অনেক অনেক বেশি। এই যুদ্ধে হাওয়াযিনের নেতা মালিক ইবন আউফ ও তার সৈনিকরা স্ত্রী-সন্তান, পশুপাল সবকিছু নিয়েই যুদ্ধে এসেছিল আর সেসবই মুসলিমরা গণিমত হিসেবে লাভ করে। রাসূলুল্লাহ (সা) কুরাইশ, গাতফান এবং তামিম গোত্রের নেতাদের বিপুল পরিমাণ গনিমতের সম্পদ দেন। প্রত্যেক নেতা একশোটি করে উট পায়। কুরাইশদের মধ্য থেকে আবু সুফিয়ান, সুহাইল ইবন আমর, হাকিম ইবন হিযাম, সাফওয়ান ইবন উমাইয়্যা এবং আল-আকরা ইবন হাবিস, উয়াইনা ইবন হিসন আল-ফিজারী,বিস্তারিত

পর্ব ৬৩ | তাবুক যুদ্ধের ভূমিকা

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, “হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মাসজিদুল হারামের কাছে না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্র্যের আশংকা করো, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুণায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” (আত-তাওবাহ, ৯: ২৮)
শত বছর ধরে হজ্জ ও উমরাকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য হতো। এটিই ছিল কুরাইশদের জীবিকার মাধ্যম। সারাবছরই হজ্জ আর উমরা উপলক্ষে অসংখ্য মানুষ মক্কায় প্রবেশ করতো। এর ওপরেই কুরাইশদের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে উঠেছিল। কুরাইশদের কাছে তাই হজ্জ বা উমরা কেবল ধর্মীয় আচার ছিল না
বিস্তারিত
পর্ব ৬৪ | কুরআনের চোখে তাবুক
তাবুকের যুদ্ধে এমন কিছু লোক ছিল যাদের জিহাদে অংশ নেওয়ার প্রবল ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। এদের কথা আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন কেবল তাদের আন্তরিকতার কারণে। কিছু লোক এসে জিহাদে যাওয়ার জন্য আল্লাহর রাসূলের (সা) কাছে আর্থিক সাহায্য চান। তাদের কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না, ঘোড়া বা উট না থাকায় তাদের যাতায়াতের খরচ নবীজিকে (সা) বহন করার অনুরোধ করেন। এই সাহাবিরা ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র, কিন্তু জিহাদে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল অদম্য। কিন্তু তাদের অর্থায়ন করার মতো যথেষ্ট অর্থ রাসূলুল্লাহর (সা) ছিল না। জিহাদে যোগদান করতে না পারার কষ্ট নিয়ে সেই সাহাবিরা (রা) অশ্রুসিক্ত হয়ে কষ্ট পেয়ে ফিরে গেলেন। বিস্তারিত
পর্ব ৬৫ | তাবুক যুদ্ধের কিছু ঘটনা
পিছিয়ে থাকা সাহাবিদের মধ্যে আরও একজন ছিলেন আবু খাইসামা আল-আনসারী (রা)। রাসূলুল্লাহ (সা) ও অন্য মুসলিমরা যখন অভিযানে, আবু খাইসামা তখন বসে আছেন ‘আরিশে।’ আরিশ গাছের ডাল দিয়ে বানানো একধরনের বিশেষ কুঁড়েঘর। গরমকালে সেই ঘরের উপরে পানি ঢালা হলে তা শীতল ও আরামদায়ক হয়ে যেত। বলা যেতে পারে আরিশ ছিল প্রাকৃতিক এয়ারকন্ডিশনার। তাঁর দুই ঘরে ছিল দুইজন স্ত্রী। আবু খাইসামা (রা) ঘরে ঢুকে দেখলেন তাঁর স্ত্রীরা তাঁর জন্য খাবার পানীয় প্রস্তুত করে রেখেছেন।
হঠাৎ তার মনে হলো আল্লাহর রাসূলের (সা) কথা। তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাসূল তপ্ত সূর্য আর গরম বাতাসে বসে আছেন
বিস্তারিত
পর্ব ৬৬ | কা’ব ইবন মালিকের ঘটনা
‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতগুলো অভিযান পরিচালনা করেছেন, তার মধ্যে তাবুক ছাড়া আর কোনো অভিযানে আমি পেছনে পড়ে থাকিনি। তবে হ্যাঁ, বদরে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি সত্যি, তবে বদরে যারা অংশ নেয়নি, তাদের কাউকে আল্লাহর রাসূল (সা) সমালোচনা বা নিন্দা করেননি। কারণ বদরের অভিযানে রাসূলুল্লাহ (সা) ঠিক যুদ্ধের নিয়তে বের হননি, উদ্দেশ্য ছিল কুরাইশদের কাফেলা আক্রমণ করা। কিন্তু আল্লাহ দুই বাহিনীকে মুখোমুখি করেন। যদিও তাদের কারোরই যুদ্ধের কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। তবে আমি আকাবার রাতে উপস্থিত ছিলাম। সে রাতে আমরা আল্লাহর রাসূলের হাতে বাইয়াত দিয়েছিলাম। বিস্তারিত
পর্ব ৬৭ | হিজরি ৯ম বর্ষের কিছু ঘটনা
আর দশজন সহজ স্বাভাবিক দম্পতির মতই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনেও ছিল আনন্দ-বেদনার গল্প, ছিল বাদানুবাদ আর মান-অভিমানের উত্থান-পতন। একবার এমন হয়েছিল, স্ত্রীদের সাথে অভিমান করে আল্লাহর রাসূল (সা) দীর্ঘ এক মাস বাড়ির বাইরে কাটান। পুরো সময়ে তিনি তাঁর কোনো স্ত্রীর কাছেই যান-নি। ঘটনাটা নবম হিজরির। একদিন আবু বকর (রা) রাসূলুল্লাহর (সা) সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখলেন আরও অনেকেই রাসূলের ঘরের দরজায় অপেক্ষমান। কাউকেই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আবু বকর (রা) ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এরপর উমার (রা) এলেন, তাকেও অনুমতি দেওয়া হলো।  বিস্তারিত
পর্ব ৬৮ | আম-আল উফুদ
সীরাহ সিরিজের আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো আম-আল উফুদ নিয়ে। আম-আল উফুদ এর অর্থ প্রতিনিধিদের বছর। এ বছর পুরো আরব থেকে অনেক গোত্র নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাদের প্রতিনিধি পাঠায়। যে কারণে এ বছরকে বলা হয় আম-আল উফুদ। আল্লাহ তাআলা বলেন, “যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী।” (সূরা নাসর ১১০: ১-৩)
এই আয়াতটি বলছে, যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে তখন
বিস্তারিত
পর্ব ৬৯বিদায় হাজ্জ
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল তা মক্কায়, বরকতময় ও বিশ্ববাসীর হিদায়াতের দিশারী বানানো হয়েছিল (এ ঘরকে) । এখানে রয়েছে আল্লাহর স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, (আরও রয়েছে) মাকামে ইবরাহীম। আর এ ঘরে যে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে। মানবজাতির ওপর আল্লাহর জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে, যে ব্যক্তির এই ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর সামর্থ্য থাকবে, সে যেন এই ঘরের হজ্জ আদায় করে…” (সূরা আলে-ইমরান, ৩: ৯৬-৯৭)
রাসূলুল্লাহ (সা) হিজরতের দশম বছরে হজ্জ করেছিলেন। এই হজ্জকেই
বিস্তারিত

পর্ব ৭০ | জীবন সায়াহ্নে রাসূলুল্লাহ সা.

সবচেয়ে অন্ধকার আর বিষাদমাখা একটা দিন।
দিনটা ছিল সোমবার। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন আমাদের ছেড়ে চলে যান। কেমন ছিল সেই দিন? ফজরের ওয়াক্তে আবু বকর (রা) মুসলিমদের সালাত পড়াচ্ছেন, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর ঘরের পর্দা সরিয়ে মসজিদের ভেতর তাকালেন। তিনি চোখ ভরে তাঁর উম্মাহকে দেখছিলেন। তাঁর উম্মাহ সারিবদ্ধভাবে সালাহ আদায় করছে। তাওহীদের যে বীজ তিনি রোপণ করেছিলেন, সেই চারাগাছ আজ সুবিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। তাঁর দাওয়াহ সফল, তাঁর মিশন সম্পূর্ণ। মুসলিমরা আজ নিজেরাই জামাতবদ্ধ হয়ে সালাত আদায় করছে।
বিস্তারিত